একদিন একটা বিশেষ স্বপ্নের পর মনের মধ্যে একটা অনুভব হলো - আচ্ছা জীবনকৃষ্ণের জীবনে তো উপনিষদ মূর্ত হয়েছে, তাহলে তার সাধন -জীবন তো উপনিষদে আছে। যদি তার কথা উপনিষদের বাণী দিয়ে প্ৰতিষ্ঠা করা যায় তাহলে কেমন হয় ? কিন্তু মনের চিন্তা মনেই থেকে গেল। কারন যখ...
একদিন একটা বিশেষ স্বপ্নের পর মনের মধ্যে একটা অনুভব হলো - আচ্ছা জীবনকৃষ্ণের জীবনে তো উপনিষদ মূর্ত হয়েছে, তাহলে তার সাধন -জীবন তো উপনিষদে আছে। যদি তার কথা উপনিষদের বাণী দিয়ে প্ৰতিষ্ঠা করা যায় তাহলে কেমন হয় ? কিন্তু মনের চিন্তা মনেই থেকে গেল। কারন যখনই মনে হতে লাগলো লেখকের দ্বারা এসব কি করে সম্ভব, তখনই নিরুৎসাহ হয়ে পড়তে হলো। তারপর জীবনকৃষ্ণের একটা কথা ভীষণ নাড়া দিল মনকে। ১৯৬২ সালের ২৪ শে জুন তিনি বলেছেন ঘরে উপস্থিত শ্রোতাদের – “এই জিনিস(ব্রহ্মবিদ্যা ) লুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। উপনিষদের ব্যাখ্যা লিখে যেতে পারতাম কিন্তু এখন ওসব আর ভালো লাগে না। ওরে তোরা সব থাকলি। হ্যাঁ যাদের রেখে যাচ্ছি তারাই ব্যাখ্যা লিখবে এখন”। তারপরই ভেতর থেকে একটা প্রবল ইচ্ছা মনকে তারা করতে লাগলো। তারই রেশ ধরে উপনিষদ গ্রন্থাবলী (স্বামী গম্ভীরানন্দ প্রণীত বাংলা ভাষায় লিখিত) পড়া শুরু হলো। এইভাবে ৭ঐ মে ২০০৮ থেকে নভেম্বর ২০০৮ সালের মধ্যে লেখার কাজ সমাপ্ত হলো।